Artwork

Nội dung được cung cấp bởi Srijan Kundu. Tất cả nội dung podcast bao gồm các tập, đồ họa và mô tả podcast đều được Srijan Kundu hoặc đối tác nền tảng podcast của họ tải lên và cung cấp trực tiếp. Nếu bạn cho rằng ai đó đang sử dụng tác phẩm có bản quyền của bạn mà không có sự cho phép của bạn, bạn có thể làm theo quy trình được nêu ở đây https://vi.player.fm/legal.
Player FM - Ứng dụng Podcast
Chuyển sang chế độ ngoại tuyến với ứng dụng Player FM !

Kuasha Jakhon

7:22
 
Chia sẻ
 

Manage episode 395346826 series 3411765
Nội dung được cung cấp bởi Srijan Kundu. Tất cả nội dung podcast bao gồm các tập, đồ họa và mô tả podcast đều được Srijan Kundu hoặc đối tác nền tảng podcast của họ tải lên và cung cấp trực tiếp. Nếu bạn cho rằng ai đó đang sử dụng tác phẩm có bản quyền của bạn mà không có sự cho phép của bạn, bạn có thể làm theo quy trình được nêu ở đây https://vi.player.fm/legal.
Kuasha Jakhan নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে। আমি দু তিন সপ্তা এপিসোড বানাইনি বলে সময় কি থেমে থাকবে ? থাকবে না। তাই একটু দেরি করে হলেও আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। বছরটা আপনার জন্য গোবিন্দ ভোগ চালে নলেন গুড় দিয়ে বানানো পায়েসের মতন বা পাটি সাপটা বা পুলি পিঠের মতন মিষ্টি হয়ে উঠুক। এই এপিসোডটা দু সপ্তা আগে করা উচিৎ ছিল, কিন্তু বেটার লেট দ্যান নেভার। ঘটনাটা সপ্তা দুয়েক আগের , কলকাতা থেকে দিল্লী ফিরছিলাম, সেই ঘটনা বহুল জার্নির কথাই বলব সৃজনের পডাবলীর এবারের এপিসোডে। ক্রিসমাসের উইকএন্ডটাতে কলকাতা গেছিলাম। ফেরার ট্রেন ছিল রাজধানী। যে দিন ফিরব তার আগের দিন দেখি শেষ তিন চার দিন ধরে রাজধানী প্রায় ছ সাত ঘন্টা লেট করে ঢুকছে। ট্রেন এরকম লেট করলে মুশকিল। ডিসিশন নিলাম, যে নাঃ ট্রেনে যাওয়া রিস্কি হয়ে যাবে। ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করে ইন্ডিগোর সন্ধে ছটার ফ্লাইটের টিকিট কাটলাম। ইন্ডিগোর নাটক সবার জানাই আছে, হাতে অনেক সময় নিয়ে যেতে হয়। মোটামুটি সাড়ে তিনটের দিকে যখন বেরোচ্ছি, SMS এলো যে ফ্লাইট চল্লিশ মিনিট দেরিতে ছাড়বে। ভাবলাম ভালোই হল, লাউঞ্জে যাওয়া যাবে। এমনিতেই লাউঞ্জএ গেলে ভোগের খিচুড়ির মতন লম্বা লাইন পড়ে । তবে কলকাতার লাউঞ্জটা ভালো, খাওয়া দাওয়া বেশ ভালোই পাওয়া যায়। দিল্লীর টি টু তে যেমন একটা মাত্র ননভেজ অপশন থাকে, কলকাতায় সেরকম না , বেশ কিছু পাওয়া যায়। তার উপর বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে দশটা বাজবে, পেটটা ভরা থাকলে ভালোই হবে। ভাগ্গিস লাউঞ্জে দু টাকা দিয়ে পেট পুরে খেয়েছিলাম। কেন বলছি ? আসছি সে কথায়। ছটার ফ্লাইট ছটা চল্লিশ করে দিয়েছে আগেই বলেছিলাম, গুগলে দেখাচ্ছিল যে ওই ফ্লাইটটা দিল্লী থেকে গয়া, গয়া থেকে কলকাতা আসছে। ছটা চল্লিশের কিছু আগে সেই ফ্লাইট কলকাতায় এল কিন্তু কলকাতা থেকে দিল্লী যাওয়ার ফ্লাইটের টাইম করে দিয়েছে রাত আটটা। কিছু লোক সেই দেখে ঝামেলা শুরু করে দিয়েছে, কারো পর দিন সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়া আছে, কারো কোথাও এডমিশন আছে, কারো বাচ্চা ছোট। আমি দেখলাম, কিছু করার নেই কফি খেয়ে আসা যাক। সেই ভেবে কিছুটা সরে অন্যদিকে এসেছি, দেখি এয়ারলাইনসের লোক কয়েকজনকে নিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছে। তাদের কাছে গিয়ে বুঝলাম যাদের এমার্জেন্সি আছে, তাদেরকে সাতটা কুড়ির একটা দিল্লীর ফ্লাইট আছে, সেটার খালি সিটে এডজাস্ট করানোর চেষ্টা করছে। আমি ও চললাম তাদের সাথে। একটা ফাঁকা কাউন্টারে গিয়ে ওই সাতটা কুড়ির ফ্লাইটে ওনারা টিকিট করে দিলেন। যে কজন যাত্রী এনার সাথে এসেছিলেন, সবারই ব্যবস্থা হয়ে গেল। বাড়িতে জানিয়ে দিলাম, আটটা অব্দি অপেক্ষা করতে হবে না, তার আগেই বন্দোবস্ত হয়ে গেছে। ফ্লাইট মোটামুটি টাইমেই ছেড়ে দিল, লাভের লাভ যেটা হল - আগেরটা মাঝের সিট ছিল, এটা উইন্ডোসিট এবং বেশি লেগস্পেসের সিট, নরম্যালি কাটলে অনেকটা টাকা বেশি নিয়ে নিত। সাড়ে নটার দিকে পাইলট এনাউন্স করলেন - দিল্লির কাছাকাছি এসে গেছি। আর মোটামুটি আধ ঘন্টার মধ্যেই দিল্লী পৌঁছে যাব। পরের এনাউন্সমেন্ট দশটার দিকে, দিল্লীতে খুব কুয়াশা, রানওয়ে ব্যাস্ত, ল্যান্ডিং এর অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এর কিছুক্ষন পরে জানানো হল - দিল্লীতে নামার পারমিশন পাওয়া যায় নি, ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছে ইন্দোরে। আমার জন্য এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা, ফ্লাইট ইন্দোরে নামল ওই পৌনে এগারোটা নাগাদ। ফ্লাইট থামার পর শুনছি আমার পিছনের রো তে বসা এক মহিলা তার আত্মীয়কে ফোন করে জিজ্ঞেস করছেন, ভালো হোটেল কি আছে। সেটা অবশ্য ওনার দরকার পড়েনি, কারন প্লেন থেকে কাউকে নামানো হয়নি । পাইলট ঘোষণা করলেন, দিল্লীর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে ওনারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, যত দ্রুত সম্ভব ফ্লাইট দিল্লী উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরই মধ্যে কেউ একজন অনলাইনে দেখে বললেন, যে ফ্লাইট ডিলে হচ্ছে বলে আমরা কয়েকজন আগের ফ্লাইটে উঠে এলাম, সেটা এগারোটা নাগাদ দিল্লী ল্যান্ড করে গেছে। হইচই করে আগের ফ্লাইট না ধরলে এখন ইন্দোর নয়, দিল্লীতে থাকতাম। এর পর ইন্ডিগোর তরফে রিফ্রেশমেন্ট এর ব্যবস্থা হল - একটা ওটস বিস্কুট , ড্ৰাই ফ্রুটস কিছু আর একটা ফ্রুট জুসের প্যাকেট। এখন মনে হল, ভাগ্গিস কলকাতা লাউঞ্জে পেট পুরে খেয়ে উঠেছিলাম, না হলে খিদেতে অবস্থা খারাপ হত। এর পর একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস হল - সেটা হল পাইলট পরিবর্তন। আমি যে উইন্ডো সিটে বসেছিলাম, তার পাশের সিট খালি ছিল আর আইল সিটে ছিলেন - অন্য এক এয়ারলাইন্সের একজন পাইলট, যিনি কলকাতায় কাজ সেরে দিল্লীতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি বেশ কয়েকবার এয়ার হোস্টেসদের কথা বলছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করলাম - কি হল কেস টা ? উনি জানালেন - ফ্লাইট ছাড়বে কিছুক্ষনের মধ্যে। এই পাইলটের জিরো ভিজিবিলিটিতে ল্যান্ড করানোর এক্সপার্টাইস আছে। এবার নামতে অসুবিধা হবে না।
  continue reading

79 tập

Artwork
iconChia sẻ
 
Manage episode 395346826 series 3411765
Nội dung được cung cấp bởi Srijan Kundu. Tất cả nội dung podcast bao gồm các tập, đồ họa và mô tả podcast đều được Srijan Kundu hoặc đối tác nền tảng podcast của họ tải lên và cung cấp trực tiếp. Nếu bạn cho rằng ai đó đang sử dụng tác phẩm có bản quyền của bạn mà không có sự cho phép của bạn, bạn có thể làm theo quy trình được nêu ở đây https://vi.player.fm/legal.
Kuasha Jakhan নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে। আমি দু তিন সপ্তা এপিসোড বানাইনি বলে সময় কি থেমে থাকবে ? থাকবে না। তাই একটু দেরি করে হলেও আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। বছরটা আপনার জন্য গোবিন্দ ভোগ চালে নলেন গুড় দিয়ে বানানো পায়েসের মতন বা পাটি সাপটা বা পুলি পিঠের মতন মিষ্টি হয়ে উঠুক। এই এপিসোডটা দু সপ্তা আগে করা উচিৎ ছিল, কিন্তু বেটার লেট দ্যান নেভার। ঘটনাটা সপ্তা দুয়েক আগের , কলকাতা থেকে দিল্লী ফিরছিলাম, সেই ঘটনা বহুল জার্নির কথাই বলব সৃজনের পডাবলীর এবারের এপিসোডে। ক্রিসমাসের উইকএন্ডটাতে কলকাতা গেছিলাম। ফেরার ট্রেন ছিল রাজধানী। যে দিন ফিরব তার আগের দিন দেখি শেষ তিন চার দিন ধরে রাজধানী প্রায় ছ সাত ঘন্টা লেট করে ঢুকছে। ট্রেন এরকম লেট করলে মুশকিল। ডিসিশন নিলাম, যে নাঃ ট্রেনে যাওয়া রিস্কি হয়ে যাবে। ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করে ইন্ডিগোর সন্ধে ছটার ফ্লাইটের টিকিট কাটলাম। ইন্ডিগোর নাটক সবার জানাই আছে, হাতে অনেক সময় নিয়ে যেতে হয়। মোটামুটি সাড়ে তিনটের দিকে যখন বেরোচ্ছি, SMS এলো যে ফ্লাইট চল্লিশ মিনিট দেরিতে ছাড়বে। ভাবলাম ভালোই হল, লাউঞ্জে যাওয়া যাবে। এমনিতেই লাউঞ্জএ গেলে ভোগের খিচুড়ির মতন লম্বা লাইন পড়ে । তবে কলকাতার লাউঞ্জটা ভালো, খাওয়া দাওয়া বেশ ভালোই পাওয়া যায়। দিল্লীর টি টু তে যেমন একটা মাত্র ননভেজ অপশন থাকে, কলকাতায় সেরকম না , বেশ কিছু পাওয়া যায়। তার উপর বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে দশটা বাজবে, পেটটা ভরা থাকলে ভালোই হবে। ভাগ্গিস লাউঞ্জে দু টাকা দিয়ে পেট পুরে খেয়েছিলাম। কেন বলছি ? আসছি সে কথায়। ছটার ফ্লাইট ছটা চল্লিশ করে দিয়েছে আগেই বলেছিলাম, গুগলে দেখাচ্ছিল যে ওই ফ্লাইটটা দিল্লী থেকে গয়া, গয়া থেকে কলকাতা আসছে। ছটা চল্লিশের কিছু আগে সেই ফ্লাইট কলকাতায় এল কিন্তু কলকাতা থেকে দিল্লী যাওয়ার ফ্লাইটের টাইম করে দিয়েছে রাত আটটা। কিছু লোক সেই দেখে ঝামেলা শুরু করে দিয়েছে, কারো পর দিন সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়া আছে, কারো কোথাও এডমিশন আছে, কারো বাচ্চা ছোট। আমি দেখলাম, কিছু করার নেই কফি খেয়ে আসা যাক। সেই ভেবে কিছুটা সরে অন্যদিকে এসেছি, দেখি এয়ারলাইনসের লোক কয়েকজনকে নিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছে। তাদের কাছে গিয়ে বুঝলাম যাদের এমার্জেন্সি আছে, তাদেরকে সাতটা কুড়ির একটা দিল্লীর ফ্লাইট আছে, সেটার খালি সিটে এডজাস্ট করানোর চেষ্টা করছে। আমি ও চললাম তাদের সাথে। একটা ফাঁকা কাউন্টারে গিয়ে ওই সাতটা কুড়ির ফ্লাইটে ওনারা টিকিট করে দিলেন। যে কজন যাত্রী এনার সাথে এসেছিলেন, সবারই ব্যবস্থা হয়ে গেল। বাড়িতে জানিয়ে দিলাম, আটটা অব্দি অপেক্ষা করতে হবে না, তার আগেই বন্দোবস্ত হয়ে গেছে। ফ্লাইট মোটামুটি টাইমেই ছেড়ে দিল, লাভের লাভ যেটা হল - আগেরটা মাঝের সিট ছিল, এটা উইন্ডোসিট এবং বেশি লেগস্পেসের সিট, নরম্যালি কাটলে অনেকটা টাকা বেশি নিয়ে নিত। সাড়ে নটার দিকে পাইলট এনাউন্স করলেন - দিল্লির কাছাকাছি এসে গেছি। আর মোটামুটি আধ ঘন্টার মধ্যেই দিল্লী পৌঁছে যাব। পরের এনাউন্সমেন্ট দশটার দিকে, দিল্লীতে খুব কুয়াশা, রানওয়ে ব্যাস্ত, ল্যান্ডিং এর অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এর কিছুক্ষন পরে জানানো হল - দিল্লীতে নামার পারমিশন পাওয়া যায় নি, ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছে ইন্দোরে। আমার জন্য এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা, ফ্লাইট ইন্দোরে নামল ওই পৌনে এগারোটা নাগাদ। ফ্লাইট থামার পর শুনছি আমার পিছনের রো তে বসা এক মহিলা তার আত্মীয়কে ফোন করে জিজ্ঞেস করছেন, ভালো হোটেল কি আছে। সেটা অবশ্য ওনার দরকার পড়েনি, কারন প্লেন থেকে কাউকে নামানো হয়নি । পাইলট ঘোষণা করলেন, দিল্লীর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে ওনারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, যত দ্রুত সম্ভব ফ্লাইট দিল্লী উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরই মধ্যে কেউ একজন অনলাইনে দেখে বললেন, যে ফ্লাইট ডিলে হচ্ছে বলে আমরা কয়েকজন আগের ফ্লাইটে উঠে এলাম, সেটা এগারোটা নাগাদ দিল্লী ল্যান্ড করে গেছে। হইচই করে আগের ফ্লাইট না ধরলে এখন ইন্দোর নয়, দিল্লীতে থাকতাম। এর পর ইন্ডিগোর তরফে রিফ্রেশমেন্ট এর ব্যবস্থা হল - একটা ওটস বিস্কুট , ড্ৰাই ফ্রুটস কিছু আর একটা ফ্রুট জুসের প্যাকেট। এখন মনে হল, ভাগ্গিস কলকাতা লাউঞ্জে পেট পুরে খেয়ে উঠেছিলাম, না হলে খিদেতে অবস্থা খারাপ হত। এর পর একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস হল - সেটা হল পাইলট পরিবর্তন। আমি যে উইন্ডো সিটে বসেছিলাম, তার পাশের সিট খালি ছিল আর আইল সিটে ছিলেন - অন্য এক এয়ারলাইন্সের একজন পাইলট, যিনি কলকাতায় কাজ সেরে দিল্লীতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি বেশ কয়েকবার এয়ার হোস্টেসদের কথা বলছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করলাম - কি হল কেস টা ? উনি জানালেন - ফ্লাইট ছাড়বে কিছুক্ষনের মধ্যে। এই পাইলটের জিরো ভিজিবিলিটিতে ল্যান্ড করানোর এক্সপার্টাইস আছে। এবার নামতে অসুবিধা হবে না।
  continue reading

79 tập

Tất cả các tập

×
 
Loading …

Chào mừng bạn đến với Player FM!

Player FM đang quét trang web để tìm các podcast chất lượng cao cho bạn thưởng thức ngay bây giờ. Đây là ứng dụng podcast tốt nhất và hoạt động trên Android, iPhone và web. Đăng ký để đồng bộ các theo dõi trên tất cả thiết bị.

 

Hướng dẫn sử dụng nhanh